Subject : মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা ও মেথি খাওয়ার নিয়ম,মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিন, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা নারী ও পুরুষ উভয়েই যৌনতার জন্য,মেথির উপকারিতা ও মেথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সঠিক তথ্য
স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হচ্ছে এই মেথি। শুধু স্বাস্থ্যই নয়, চুল ও ত্বকের যত্নেও মেথি বেশ কার্যকরী। আমদের আজকের আয়োজন মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং মেথি খাওয়ার নিয়ম নিয়ে। মেথি হচ্ছে আমাদের দেশে অনেক পরিচিত একটি নাম। এই মেথি খাওয়ার নিয়ম মেনে খেলে মেথির উপকারিতা অপরিসীম এবং রুপচর্চায়ও এটি বেশ কার্যকর।
বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরা এই মেথি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, কপার। পরিমানে কিছুটা কম হলেও এতে আরো আছে, কোলিন, বায়োটিন, ইনসিটল, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, জিংক, ফোলেট, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও এমাইনো এসিড। বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানদ্বারা প্রমানিত শরীরের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে এবং ত্বক ও চুলের যত্নে মেথি একটু সুপার ফুড।
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
কিছুটা তিতা স্বাদের জন্য মেথি অনেকেই অপছন্দ করেন। কিন্তু এই তিতা স্বাদযুক্ত মেথির উপকারিতা ও পুষ্টিগুন সত্যিই অবাক করার মতো। গবেষনায় দেখা গিয়েছে যদি মেথি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা যায় তবে ভেজাল খাবার ও দূষিত পরিবেশের মধ্যেও সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব। আদিকাল থেকে যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক, কবিরাজী ও ইউনানী চিকিৎসায় একটি সুপরিচিত নাম মেথি।
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
বর্তমানে আমাদের অনেকেরই চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা রয়েছে। এই মেথি চুল পড়া কমিয়ে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করে। মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-এ। এই দুটি ভিটামিন চুলকে অধিক শক্তিশালী করে এবং চুল পড়ে যাওয়ার প্রবনতাকে প্রতিরোধ করে। এছাড়াও খুশকি দূরীকরণে দারুণ ভূমিকা পালন করে এই মেথি। মেথির প্রাকৃতিক জেলোটিন মেলানিন চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও চুল কালো রাখতে বেশ সহায়ক।
কাঠ বাদাম, কাঠ বাদামের উপকারিতা, কাঠ বাদাম এর উপকারিতা, কাঠ বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা, কাঠ বাদামের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম, বাদামের উপকারিতা, বাদাম এর উপকারিতা,
মেথি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কার্বোহাইড্রেড ও সুগার শোষন করে নেয়। মেথিতে ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। মেথিতে ফাইবার ও নানান উপকারী উপাদান রক্তে গ্লুকোজের পরিমান কমাতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এর কারনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে এক মহৌষধ মেথি
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
মেথির উপকারিতা অনেক, এর মধ্যে যৌনশক্তি বৃদ্ধি বা যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি অন্যতম। একটি জরিপে দেখা যায় যুক্তরাস্ট্র ও এশিয়ার ৪২%-৬০% পুরুষ যৌন সমস্যায় ভুগছেন। নানাবিধ সমস্যার সাথে একটি বড় সমস্যা হলো পুরুষের অস্বাভাবিক ভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়া। মেথি পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধিতে প্রচুর কার্যকর। শুধু পুরুষই নয় নারীরাও যৌন সমস্যায় ভুগে থাকেন। মেথিতে ডাইওসজেনিন বা সাপোনিস নামের এক ধরনের কার্যকরী উপাদান রয়েছে যা পুরুষ এবং নারী উভয়েরই হরমোনের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
(ads1)
চিয়া সিড, চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম, চিয়া সিড এর উপকারিতা, চিয়া সিড কি, চিয়া সিড এর দাম, চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা, চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায়, চিয়া সিড এর বাংলা নাম,
মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। ফাইবারের কারনে আমাদের খিদে কম বোধ হয়। আর স্বাভাবিকভাবেই খিদে কম হলে বাড়তি খাদ্যাভ্যাস থেকে বেড়িয়ে আসা যায় যলে ওজন দ্রুত কমতে এটি সাহায্য করে।
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
মেথিতে রয়েছে স্টেরিওডাল সেপোনিন্স নামের এক ধরনের উপাদান যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে অনেক বেশী সাহায্য করে। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন হার্টের ব্লক, স্ট্রোক ইত্যাদি। এমনকি হৃদক্রিয়া সম্পুর্নরুপে বন্ধ করে দিতে পারে বাড়তি কোলেস্টেরল। যদি প্রতিদিন মেথি খাওয়ার নিয়ম মেনে খাওয়া যায় তবে বাড়তি কোলেস্টেরল সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
মেথিতে রয়েছে ট্রাইগ্লিসেরাইড যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো ভয়ংকর রোগের কোষগুলোকে উদ্দীপিত করে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে সম্পুর্নরুপে নষ্ট করে ফেলতে সক্ষম। শরীরের ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে রক্তে টক্সিকে বাড়তি মাত্রা। রক্তের টক্সিক উপাদানগুলো মেথি ধ্বংস করে দেয় বা বের করে দেয়। এর কারনে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা অনেকখানি কমে যায়।
কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে মেথি
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, কিডনি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা, কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার, কিডনি পাথর রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার, কিডনি রোগের লক্ষণ ও তার প্রতিকার, কিডনি সমস্যার লক্ষণ ও প্রতিকার, কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো কি কি, কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ, কিডনি রোগ থেকে বাঁচার উপায়, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, কিডনি নষ্ট হওয়ার কারণ ও লক্ষণ, কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ কি, কিডনি ফোলার কারণ, কিডনি রোগের প্রধান লক্ষণ, কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ,
গবেষকদের মতে কিডনির বিভিন্নরকম পাথর যেমন ক্যালসিয়াম অক্সালেট প্রতিরোধে শুধু মাত্র মেথিই যথেষ্ট। কিডনি পরিষ্কার রাখতে ও মুত্রথলি সুস্থ রাখতে মেথি বেশ সহায়ক। ”Phytotherapy Research”– এর তথ্য অনুযায়ী কিডনির পাথর সম্পুর্ন নষ্ট করে কিডনির কার্যক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সক্ষম এই মেথি।
মাসিকের ব্যাথা দূর করতে মেথি
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
মাসিক বা পিরিয়ড খুব স্বাভাবিক একটা ব্যপার প্রতিটি মেয়ের জন্য। প্রায় প্রত্যেক মেয়েরই মাসিকের সময় ব্যাথা অনুভব হয়। কিছু কিছু মেয়েদের এই ব্যাথা মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায়। মাসিক বা পিরিয়ডের প্রথম তিন দিন ২০০০-২৫০০ মিলিগ্রাম এবং পরবর্তী দিনগুলোতে ১০০০ মিলিগ্রাম করে মেথি খেলে পিরিয়ড বা মাসিকের ব্যাথা খুব দ্রুত হ্রাস পায়।
(ads1)
মেথির স্বাদ তিতা ধরনের। অনেকেরই মেথি খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হয়। কিছু মানুষের দেখা যায় এই মেথি খাওয়ার কারনে মাথা ঘোরার প্রবনতা দেখা যায়। প্রত্যাহ মেথি সেবনে রক্তে সুগারের পরিমান অনেক কমিয়ে ফেলে। অস্বাভাবিক সুগার কমানো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ বিপদজ্জনক। মেথিতে কৌমারিন থাকার কারনে যাদের রক্ত পাতলা বা রক্তের ঘনত্ব কম তাদের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে এটি খাওয়া উচিৎ। গর্ভাবস্থায় মেথি যদি প্রতিদিন খাওয়া হয় তাহলে সময়ের পুর্বেই বাচ্চা জন্ম নিতে পারে। এটি কোনভাবেই ঠিক নয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকিও থেকে যায়।
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা
মেথি অনেকভাবেই খাওয়া যায় তবে বেশীরভাগই দেখা যায় রান্নার মসলা হিসেবে খেতে। রান্না করে বা রান্নার মসলা হিসেবে যদি এটিকে খেতে হয় তবে রান্নার আগে ৩-৪ ঘন্টা পর্যন্ত মেথিকে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাহলেই মেথির ভাল গুনাগুন পাওয়া যাবে।
একগ্লাস গরম পানিতে পরিমান মতো মেথি ১০-১৫ ভিজিয়ে রেখে থিতিয়ে নিন। এরপর মধু ও লেবু মিশিয়ে উক্ত মিশ্রনটি খেতে পারেন। এতে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
সবচেয়ে ভাল হয় এক গ্লাস পানিতে পরিমান মতো মেথির গুড়া ভাল করে মিক্স করে রেখে দিন। তবে ভুলেও ফ্রীজে রাখবেন না। এরপর সকালে খালি পেটে ছাকুনি দিয়ে ছেকে তরলটুকু খেয়ে নিন।
মনে রাখবেন মেথি আপনি যেভাবেই খান তা কার্যকর হতে বা মেথির উপকারিতা পেতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ এটি দৈনিক থেকে হবে। খুব ভাল হয় প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যদি এটিকে লিপিবদ্ধ করে নেয়া যায়।
মেথি, মেথির উপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, মেথি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
(ads2)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা মেথির উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই জানতে পারলাম। তবে অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকের চেয়েও মেথির উপকারিতা অনেক বেশী যদি মেথি খাওয়ার নিয়ম মেনে খাওয়া যায়।
আশা করছি আমাদের আজকের আলোচনা আপনার ভাল লেগেছে। যদি কোন প্রশ্ন থাকে বা আপনার মতামত জানাতে অবশ্যই আমাদের কমেন্টে জানান। ধন্যবাদ।